দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মাদকের সরবরাহ বাড়ায় ঝুঁকিতে তরুণরা : জাতিসংঘ

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মেকং অঞ্চল এবং পূর্ব এশিয়ায় নজিরবিহীনভাবে মাদক উৎপাদন ও পাচারের ঘটনা বেড়েছে। ফলে এসব মাদকের তরুণ ব্যবহারকারীরা ভয়ংকর ঝুঁকিতে রয়েছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে এমন ভয়ংকর তথ্য পাওয়া গেছে। জাতিসংঘের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, এমনকি কর্তৃপক্ষ এসব মাদকের বড় বড় চালান জব্দ করছে, কিন্তু সরবরাহ এত পরিমাণে বেড়েছে যে, এটি এখন ব্যবহারকারীদের একেবারে কাছে পৌঁছে যাচ্ছে এবং দামের দিক থেকে তাদের নাগালের মধ্যে রয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে থাইল্যান্ডে একটি বৈঠক করতে যাচ্ছে জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক সংস্থা ইউএনওডিসি। বৈঠকের ঠিক আগে সংস্থাটির আঞ্চলিক প্রতিনিধি জেরেমি সাংবাদিককে বলেন, সংগঠিত অপরাধীরা এসব মাদক এমনভাবে সরবরাহ করছে যেন এসব অঞ্চলে মাদকের ছড়াছড়ি অবস্থা বিরাজ করছে।

উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, জাতিসংঘের হিসাবে থাইল্যান্ডে মেথামফেটামাইন ট্যাবলেটের দাম ২০১৭ সালে কমে দেড় ডলার থেকে সাড়ে চার ডলারের মধ্যে পাওয়া যায়। অথচ ২০১৪ সালে এর দাম ছিল ৪ ডলার থেকে ৭ মার্কিন ডলার।

পার্শ্ববর্তী উন্নত নগররাষ্ট্র সিঙ্গাপুরে ২০১৪ সালে মেথ (মেথামফেটামাইন) ট্যাবলেটের দাম ছিল ২০ ডলার। কিন্তু ২০১৭ সালে তা মাত্র ৬ ডলারে নেমে এসেছে।

ডগলাস বলেন, এই অঞ্চলজুড়ে ইয়াবা ট্যাবলেট এমনভাবে ছড়িয়ে পড়েছে যে তার দাম এখন রাস্তার পণ্যের মতো হয়েছে। ফলে অল্প বয়স্ক ব্যবহারকারীরা এতে আসক্ত হচ্ছে।

আগস্ট মাসে থাইল্যান্ডের পুলিশ এক কোটি ৪০ লাখ মেথ ট্যাবলেটের একটি চালান জব্দ করে, যার মূল্য সাড়ে চার কোটি ডলারেরও বেশি। থাই পুলিশের মাদক জব্দের মধ্যে এটি অন্যতম একটি ঘটনা।

অন্যদিকে, মালয়েশিয়া পুলিশ মে মাসে সবচেয়ে বড় মাদকের চালান জব্দ করে। চায়ের আড়ালে প্রায় ১ দশমিক ২ টনের ওই চালানটি এসেছিল মিয়ানমার থেকে।

ইউএনওডিসি গত বছর বলেছিল, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশিরভাগ মেথ উৎপাদন হয় মিয়ানমারের শান রাজ্যে, যেখানে কোনো আইনের শাসন নেই (বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত)।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর